চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম বলেন,
“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শান্ত থাকুন। নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সরকার দ্রুতই সকল রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
এর আগেও গতকাল (২৫ নভেম্বর) দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন:
“অনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায়। আমরা আমাদের ব্যর্থতা স্বীকার করি। শিখছি এবং ব্যর্থতা কাটানোর চেষ্টা করছি। জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা কোনো ধরনের হঠকারিতা বা অন্যায্যতার চেষ্টা কাম্য নয়।”
অন্যদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি উসকানিমূলক কার্যক্রমে জড়িত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং কোনো প্রকার উসকানিতে সাড়া দেওয়া উচিত নয়।”
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত আন্দোলন সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় ইসকন সদস্যদের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সহিংসতায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) নিহত হন। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও অনেকে আহত হন। ঘটনার পর থেকেই চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে।