চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই খানে আলম মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইসকন অনুসারীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা করা হয়।
সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা আদালতের একজন আইনজীবী ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পান।
গত বুধবার তার জানাজা চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে আরও দুই দফা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উল্লেখিত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে জানা গেছে।