গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় আরও ৫৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত এই উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯০০ পেরিয়ে গেছে। পাশাপাশি, চলমান এই সহিংসতায় আহতের সংখ্যা লক্ষাধিক বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৯৩০ জন নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরাইলি বাহিনীর টানা হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৬ হাজার ৬২৪ জন আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৫ জন নিহত এবং ১৭০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকর্মীরা যথাসময়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে সেখানে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরের নিচে এখনো প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, তবুও ইসরাইল তার নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভূতপূর্ব আন্তঃসীমান্ত হামলার পর ইসরাইল গাজা উপত্যকায় টানা বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে। এতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ অসংখ্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি হামলার ফলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং তাদের খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে।
অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার পরিস্থিতি মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।