শিরোনাম

কর্মবিরতিতেও চলছে মেট্রোরেল, টিকিট ছাড়াই গন্তব্যে যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চার কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে মেট্রোরেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের এক দিনের মধ্যে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা না হলে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

তবে যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেল চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে কর্মবিরতি চলমান থাকলেও আজ সোমবার সকাল থেকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচল করছে। যদিও টিকিট কাউন্টারে কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তারা বিক্রয় কার্যক্রমে অংশ নেননি, যার ফলে যাত্রীরা বিনা টিকিটেই ভ্রমণ করছেন।

এর আগে, রবিবার রাত ২টার দিকে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’ ব্যানারে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে প্রধান দাবিগুলো হলো—পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা, পরিদর্শক রঞ্জিত ও সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, এমআরটি পুলিশ বিলুপ্ত করে মেট্রোরেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী গঠন, স্টেশন কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং অনুমতি বা পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না দেওয়া। পাশাপাশি, আহত কর্মীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টাফরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, ১৭ মার্চ থেকে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে, যখন দুই নারী যাত্রী বিনা টিকিটে ভ্রমণ শেষে স্টেশনের সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তারা নির্ধারিত পোশাক পরিধান না করায় কর্মীরা তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা তাদের সুইং গেট ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়ান এবং এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। কিছুক্ষণ পর, পুলিশের এপিবিএন ইউনিটের দুই সদস্যও সুইং গেট ব্যবহার করে বের হন। কর্মীরা কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং পরে কন্ট্রোল রুম থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তর্কে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে এক কর্মীর কাঁধে বন্দুক দিয়ে আঘাত করা হয় এবং আরেক কর্মীকে এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এমনকি, তাদের বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে অন্যান্য কর্মী ও যাত্রীদের সহায়তায় ওই কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।