নতুন বছর ২০২৫ শুরু হলো, সঙ্গে নিয়ে এলো নতুন আশা, স্বপ্ন এবং সম্ভাবনার বার্তা। পুরোনো বছরের দুঃখ-কষ্ট পেছনে ফেলে দেশবাসী নতুন প্রত্যাশা নিয়ে নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
৩১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার রাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই রাজধানীর আকাশ ঝলমলে আতশবাজি আর ফানুসের আলোয় রঙিন হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পটকার শব্দে মুখরিত হয় চারপাশ। অনেকেই নতুন বছর উদযাপনে ছাদে ফানুস উড়িয়েছে, আবার কেউ করেছে পার্টি আয়োজন।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইটকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। নির্দেশনায় ঢাকা মহানগরে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজধানীর অনেক জায়গায় ছোট পরিসরে বারবিকিউ পার্টি এবং কেক কাটার মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রাজধানীজুড়ে কঠোর নজরদারি বজায় রাখে। বিভিন্ন জায়গায় টহল ও তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন বছরের আগমনী বার্তা মানুষকে নতুন উদ্দীপনা দেয় এবং সুন্দর আগামীর পথচলায় উৎসাহিত করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শহীদদের রক্তের মূল্য সমুন্নত রাখার এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার করেছে।
তিনি দেশবাসীকে দেশপ্রেম এবং কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নতুন বছরে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হোক এবং সবার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এই কামনা করেন।