শিরোনাম

প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে সফর করতে যাচ্ছেন। তার এ সফর উপলক্ষে দিনভর নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে অংশগ্রহণসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। তার আগমনকে ঘিরে পুরো বন্দরনগরীজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

ড. ইউনূস তার পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে। সফরের অংশ হিসেবে তিনি চবি ক্যাম্পাস ছাড়াও হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে অবস্থিত তার পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করবেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া তিনি ঐতিহাসিক জোবরা গ্রাম পরিদর্শন করবেন—এই গ্রাম থেকেই তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেন।

তাদের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ এলাকায় একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন, যেখানে বন্দর ও নৌযান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সভায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর ওপর মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা দেওয়া হবে।

পরে তিনি সার্কিট হাউসে গিয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিতব্য কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প ও অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত ২৩ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত দলিল তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবেন।

দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছাবেন। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীকে সনদ ও ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

চবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য অবদানের জন্য ড. ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্যের নেতৃত্বে আমরা সমাবর্তনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষের পথে। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হতে চলেছে।’ অনুষ্ঠানে প্রায় এক লাখ মানুষের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, ‘প্রধান উপদেষ্টার এই ঐতিহাসিক সফরকে সফল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’