দেশজুড়ে আবারও তীব্র শীতের আগমন ঘটছে, সঙ্গে ঘন কুয়াশাও শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) থেকে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
এতে, কয়েকদিনের বিরতির পর দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ইতোমধ্যে শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা নেমে এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে শীত বাড়তে পারে এবং শৈত্যপ্রবাহ চলতে থাকতে পারে।
এদিকে, রাজধানী ঢাকায় গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে, যার ফলে দিনে শীতের অনুভূতি কমেছে। তবে আগামী ৫–৬ দিন তাপমাত্রা আবারও কমতে পারে, এবং দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিলবে না, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে তুলবে। আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি হতে পারে চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং কুয়াশার পরিমাণও দ্রুত বাড়ছে। তিনি জানান, ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীতের অবস্থা বজায় থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ ভারতের হিমালয় কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস নিয়ে আসছে, যা আগামীকাল (৯ জানুয়ারি) থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত হতে শুরু করবে। এর ফলে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশাযুক্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব বেশি পড়বে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং সিলেট বিভাগের উপর। এসব অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।
অপরদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।