ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন প্রতারণার অভিযোগে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম জানান, আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ইভ্যালি তাদের প্রচারণায় আকর্ষণীয় অফারের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করতো। এই বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামের একজন গ্রাহক ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি থেকে একটি ইয়ামাহা আর-১৫ মোটরসাইকেল অর্ডার করেন এবং মূল্যও পরিশোধ করেন। ইভ্যালির পক্ষ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ে তা সরবরাহ করা হয়নি।
পরবর্তীতে তিনি ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। তবে ওই চেকে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় কর্তৃপক্ষ তাকে নির্ধারিত তারিখে চেকটি ব্যাংকে না জমা দেওয়ার অনুরোধ করে। আসামিদের কথায় বিশ্বাস করে ফাহিম চেকটি জমা দেননি। পরবর্তীতে তিনি বারবার টাকা চাইলেও তা ফেরত পাননি। এমনকি আইনি নোটিশ পাঠানোর পরও কোনো সমাধান হয়নি।
অবশেষে মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন, যার প্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া হয়।