গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমলো

ছবি : সংগৃহীত

সরকার গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশে সংশোধনী এনেছে, যার ফলে ব্যাংকটির ওপর সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ মালিকানা রাখা হয়েছে সুবিধাভোগীদের জন্য। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম শুরু করতে একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে এবং এখন এসব অপরাধের বিস্তারিত তদন্ত শুরু হবে। পাশাপাশি কর্পোরেট ও ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার ‘ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ’ অনুমোদন করেছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। ভবিষ্যতে যেন সাধারণ মানুষ আর্থিক অনিয়মের শিকার না হয়, সে লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকে অনিয়ম দেখা গেলে, বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পর্যায়ে গিয়ে হস্তক্ষেপ করবে, তা আইনি কাঠামোয় নির্ধারিত করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, দেওয়ানি মামলা সংক্রান্ত ১৯০৮ সালের ‘সিভিল প্রসিডিউর কোডে’ (সিপিসি) বেশ কিছু সংশোধনী এনে আইনটিকে আধুনিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—মামলার সময় আবেদন কতবার করা যাবে, পূর্ণ ও আংশিক শুনানির মামলাগুলো কিভাবে তালিকায় আসবে তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

এছাড়া বিচার প্রক্রিয়া সহজ করতে সমন জারি এখন থেকে টেলিফোন, এসএমএস কিংবা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঠানো যাবে। আগে প্রতারণামূলক মামলার সর্বোচ্চ জরিমানা ছিল ২০ হাজার টাকা, সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিন্ন জলরাশির পানি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দুটি আইন রয়েছে, যার মধ্যে একটি আইনে বাংলাদেশ অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেশের পরিবেশ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।