শিরোনাম

ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে শ্রমজীবী মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। টানা ছয়দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি জেলায়। বিকেল হলেই নেমে আসে অন্ধকার, আর হিমেল হাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাচ্ছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রোববার (২৬ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলুক্ষেতের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কৃষক সাইফুল বলেন, “প্রচণ্ড শীতে আলুর ক্ষতি হতে পারে। এত কষ্ট করে চাষ করেছি, ভেবেছিলাম ভালো ফলন পাব। কিন্তু এখন দুশ্চিন্তা করছি। আল্লাহ ভরসা।”

kurigram 1

একই এলাকার দিনমজুর রহিম বলেন, “শীত এত বেশি যে হাত-পা বরফ হয়ে যায়। কাজও নেই, তাই কষ্টে দিন কাটছে।”

কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা জেসমিন বেগম বলেন, “পাতলা চাদর গায়ে দিয়ে শীত মানা যায় না। একটা কম্বল পেলে অনেক উপকার হতো।”

শীতের তীব্রতার কারণে কুড়িগ্রামে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডা. শাহিদ সর্দার জানান, “শীতের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।”

আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার আরও জানান, এমন শীত ও কুয়াশা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।