শিরোনাম

মেজর সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার ছয়জন আসামির যাবজ্জীবন সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। প্রতিটি দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা দিপ্তী। অপরদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহাজাহান। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।

মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির নির্দেশে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল হাইকোর্টের এই বেঞ্চে মামলাটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাঠানো হয়। ২৩ এপ্রিল শুরু হয় আপিলের শুনানি।

ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে, কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে। তখন পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। ঘটনার সময় তিনি ভ্রমণবিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের কাজে কক্সবাজারে ছিলেন।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড এবং তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন চার পুলিশ সদস্য ও তিনজন এপিবিএন সদস্য।

রায় ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং দণ্ডিতরা জেল থেকে আপিল করেন। অবশেষে হাইকোর্টেও সেই রায় বহাল থাকে।