প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবক হলেন—আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে তাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া মামলার এক গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মোবাইল ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে আসতে উৎসাহিত করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
বনানী থানা পুলিশের সূত্রে জানা যায়, এই তিনজনকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কামাল বিটিসিএল কলোনিতে বসবাস করেন এবং তার বাড়ি খুলনার তেরখাদার বিলদুড়িয়া গ্রামে। জুনায়েদ থাকেন বনানী মসজিদ গলিতে, তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুরে। সানি থাকেন মহাখালীর ওয়ারলেস গেট এলাকায়, আর তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার বিকেলে, ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে কেন্দ্র করে হাসাহাসির একটি ঘটনা থেকে। এ নিয়ে প্রাইম এশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পারভেজের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসার দাবি করলেও ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় পারভেজের ওপর হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ৩০ থেকে ৪০ জন যুবক পারভেজকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়, যেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত ১০টার দিকে মরদেহ ময়মনসিংহের ভালুকার কাইচান গ্রামে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করা হয়।