শিরোনাম

শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

দেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার থেকে এ কর্মসূচি কার্যকর হচ্ছে। সোমবার রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে রূপরেখা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শাটডাউন চলবে।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির হাইকোর্টের রায় বাতিল ও পদবি পরিবর্তন; ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের বিধি দ্রুত বাতিল; ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের চার বছর মেয়াদ অক্ষুণ্ণ রাখা এবং আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়ন; উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের (দশম গ্রেড) পদে শুধুমাত্র চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) পাস করা শিক্ষার্থীদের আবেদন নিশ্চিত করা; বেসরকারি খাতে ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম দশম গ্রেডের (১৬ হাজার টাকা) মূল বেতন প্রদান এবং আধুনিক বিশ্বের আদলে উচ্চশিক্ষার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার গেজেট প্রকাশ। পাশাপাশি, বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল ও খাগড়াছড়ি) শতভাগ আসন নিশ্চিত করার দাবি রয়েছে।

দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পর ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। একই দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, ১৭ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী রেল অবরোধ কর্মসূচি চালাবেন। তবে রাতে সরকারের অনুরোধে তারা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন এবং পরদিন সচিবালয়ে আলোচনায় অংশ নেন। পরে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বৈঠকে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

পরবর্তীতে, ২২ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীরা।