প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নিজের প্রভাব ব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে প্লট গ্রহণের ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের ১৮ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এই আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত।
এর আগে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক দুর্নীতির মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার বিষয়ে সেদিন দুপুরে দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
গত তিন দিনে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আসামি করে মামলা হয়। আলাদা দুটি মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।
এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ গৃহায়ন মন্ত্রণালয় ও রাজউকের আটজন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে জয়সহ ১৫ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব মামলার প্রেক্ষাপটে রাজউক থেকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দে অনিয়মের বিষয়টি ঘিরেই তদন্ত চালিয়ে আসছিল দুদক।
এর আগে, পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর সড়ক ঘেঁষা এলাকায় প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার অনুমোদন দেয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম দুর্নীতির মামলা, এর আগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা ছিল মূলত হত্যা বা সহিংসতা সংক্রান্ত।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও ভাগ্নি আজমিনা সিদ্দিকসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম উল্লেখ রয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই পূর্বাচল প্রকল্পের বিভিন্ন প্লট বরাদ্দে প্রভাব খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।