শিরোনাম

আজ ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিন দিনের সফরে আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় পৌঁছাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এটাই প্রথম উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর। এ সফরে আলোচনায় থাকবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার, গণতান্ত্রিক অগ্রগতি, বাণিজ্য বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্কনীতি, রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রথমেই ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক। পরে অন্য এক ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ ঢাকায় পৌঁছাবেন। হেরাপের সফরসঙ্গী হিসেবে মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনেরও সফরে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সফরের প্রথম দিনে তারা ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর তারা পর্যায়ক্রমে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, “দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত পাল্টা শুল্কও আলোচনার বিষয় হতে পারে।”

সূত্রে আরও জানা গেছে, নিকোল চুলিক এ সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে গণতন্ত্র ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু হেরাপ মূলত মিয়ানমার পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গা সংকটকে প্রাধান্য দেবেন। মিয়ানমারের অধিকাংশ এলাকায় সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশটি এখন মাদক চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, অপহরণ, মানব পাচারসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকটসহ পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হবে।