আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়েজ জানিয়েছেন, মামলার এক আসামির জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। তিনি বলেন, “আমরা চাই না এ ধরনের ঘটনা আবারও ঘটুক।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের আগে আমরা কল্পনাও করিনি যে হাইকোর্ট থেকে এত বড় একটি রায় আসবে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। যদিও রায় কার্যকরের জন্য এখনো বেশ কিছু পদক্ষেপ বাকি রয়েছে, আমরা চাই সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। পাঁচ বছর পর হাইকোর্টের এই রায় এসেছে, যা কার্যকর হলে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
রোববার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এর আগে, বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।
আসামিপক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ হাসান চৌধুরী ও আজিজুর রহমান দুলু। এছাড়া, আদালত কক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।