শিরোনাম

ক্ষমতাগ্রহণের ২৫ বছর পূর্তি: নতুন বছরের ভাষণে যা বললেন পুতিন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ দিন আগে
ফাইল ছবি

পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যকে জটিল করে তুলেছে। একই সময়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রায় তিন বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। এসব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রাশিয়াকে দুর্বল করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ঠিক ২৫ বছর আগে, ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বরিস ইয়েলৎসিন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পুতিন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার আন্তর্জাতিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে একচ্ছত্র ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন তিনি। বিরোধীদের কোণঠাসা করে নিজেকে রাশিয়ার একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

মঙ্গলবার ক্ষমতা গ্রহণের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং নববর্ষের ভাষণে পুতিন দাবি করেন, রাশিয়া প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি বা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি এড়িয়ে যান।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেন, গত ২৫ বছরে তার নেতৃত্বে রাশিয়া যেসব অর্জন করেছে, সেগুলো নিয়ে রাশিয়ার জনগণের গর্বিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘প্রিয় বন্ধুরা, আর কিছুক্ষণ পরেই ২০২৫ সাল শুরু হবে। একুশ শতকের প্রথম এক-চতুর্থাংশ শেষ হচ্ছে। হ্যাঁ, আমাদের এখনও অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আমরা ইতিমধ্যেই যা অর্জন করেছি, তা নিয়ে আমরা গর্বিত হতে পারি।’

রাশিয়ার সেনাসদস্যদের প্রশংসা করে পুতিন আরও বলেন, ‘নতুন বছরের প্রাক্কালে আমাদের যোদ্ধারা ও কমান্ডাররা তাদের প্রিয়জন এবং রাশিয়ার কোটি মানুষের শুভেচ্ছা ও প্রার্থনায় রয়েছেন। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি এবং আত্মবিশ্বাসী যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের শুধু এগিয়ে যেতে হবে।’

তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের অস্পষ্ট বক্তব্য ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি সংঘাত জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াচ্ছে। ভাষণে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প বা অন্য কোনো বিশেষ রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। পুতিনের আশাবাদী ও স্থিতিশীলতার বার্তা রাশিয়ার বর্তমান অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক সংকট আরও গভীর করে তুলতে পারে।