শনিবার অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড, যা ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা তৈরি করেছে। ঝড়ের কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে, এছাড়া একটি যানবাহন দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৩৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। আলফ্রেডের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে, যা গাছপালা উপড়ে ফেলেছে, বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে এবং ভবন ধ্বংস করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি অস্ট্রেলিয়ার ল্যাব্রাডর থেকে জানিয়েছে, ঝড়ের পরেও ওই অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ড ও উত্তর-পূর্ব নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় নদীগুলো পানির উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে।
ইউটিলিটি সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ডে দুই লাখ ৯৫ হাজার এবং নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রায় ৪২ হাজার ৬০০ বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে, বন্যার কারণে বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ ব্যাহত হতে পারে।
কুইন্সল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্রিসাফুলি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো সতর্ক করেছে যে, সারা সপ্তাহজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নদীগুলো ইতোমধ্যে বন্যার প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে এবং ছোট-বড় বিভিন্ন এলাকায় বন্যা বিস্তার লাভ করছে।