শিরোনাম

সৌদিসহ যেসব দেশে নিষিদ্ধ ইসকন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৫ ঘন্টা আগে

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। হিন্দুত্ববাদী এ সংগঠনটির কার্যক্রমকে উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে, যা এখন আদালতের বিবেচনায় রয়েছে।

আইনি নোটিশে নিষেধাজ্ঞার দাবি

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল সম্প্রতি ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন,

“ইসকনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে। তাদের কার্যক্রম ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে।”

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসকনকে ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) এবং সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

আইনি নোটিশে দাবি করা হয় যে ইসকন বাংলাদেশে:

  1. সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে:
    সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইসকন সাধারণ হিন্দুদের ওপর নিজেদের বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং নিম্নবর্গীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জোরপূর্বক সদস্য বানাচ্ছে।
  2. মন্দির দখল ও মসজিদে সমস্যা সৃষ্টির অভিযোগ:
    ঢাকার স্বামীবাগের একটি মসজিদের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ইসকনের সংগীত অনুষ্ঠানের কারণে মুসল্লিদের তারাবির নামাজে সমস্যা হয়েছিল। এ বিষয়ে তাদের জানালে ইসকন পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।
  3. উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ধর্মীয় বিভাজন:
    ইসকনের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ এনে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ করার দাবি করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট

নোটিশে দাবি করা হয়, ইসকনের উগ্রবাদী কার্যক্রমের জন্য মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব এবং সিঙ্গাপুরে এ সংগঠনটি নিষিদ্ধ। অন্যান্য দেশেও ইসকনের কার্যক্রমে কড়া নজরদারি চালানো হয়।

পরবর্তী পদক্ষেপ

আইনি নোটিশে দাবি করা হয়েছে, ইসকনের কার্যক্রম বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।