লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯২ জনে পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে ৩৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১,৬৪৫ জন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহর প্রায় ১,৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে ৬৫০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় শিশু, নারী ও মেডিকেল কর্মীরা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হামলার আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দাদের, যেখানে হিজবুল্লাহ সক্রিয়, সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এমনকি লেবাননের একটি রেডিও হ্যাক করে সেখানেও এ বার্তা প্রচার করা হয়।
হিজবুল্লাহ যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “হিসাব-নিকাশের লড়াই” ঘোষণা করেছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। দক্ষিণ লেবাননের মানুষজনকে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, সোমবারের হামলাকে ইসরায়েল-লেবানন উত্তেজনার মধ্যে সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, লেবাননে হামলার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করা হবে। উত্তরে বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিদের ফেরাতে তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এ হামলা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, লেবাননের হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত পেজার ও ওয়াকিটকির বিস্ফোরণে গত সপ্তাহে ৪০ জনের বেশি প্রাণ হারায়, যাদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন হিজবুল্লাহ সদস্য। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ। পেজার বিস্ফোরণের পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বেড়েছে, যার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার দক্ষিণ লেবাননের একাধিক শহরে বিমান হামলা চালায়।