ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইসরাইলের ওফার কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় ফিলিস্তিনি বন্দিদের।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কড়া সামরিক পাহারায় ৬২০ ফিলিস্তিনিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছে দেওয়া হয়। একই সময়ে হামাস রেড ক্রসের মাধ্যমে চার ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ মরদেহ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং আইডিএফ জানায়, শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান।
এর আগে, ইসরাইল ২২ ফেব্রুয়ারি ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি স্থগিত করে, অভিযোগ তোলে যে হামাস জিম্মিদের প্রতি ‘নিষ্ঠুর আচরণ’ করেছে। হামাস এই পদক্ষেপকে চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে।
পরে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রচেষ্টায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অচলাবস্থা দূর হয় বলে জানান ইসরাইল ও হামাসের কর্মকর্তারা।
এদিকে, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের সময়সীমা শেষ হচ্ছে শনিবার (১ মার্চ)। পরবর্তী ধাপের আলোচনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক ডেকেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানো এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোতে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘ ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, গাজায় নেতানিয়াহুর বাহিনীর সামরিক অভিযান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে, পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থী শিবির থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এই ঘোষণার পর অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করতে শুরু করেছেন। শরণার্থীরা জানান, ইসরাইল ওই এলাকায় স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।