শিরোনাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজার অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় একদিনেই অন্তত ৫৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এ নিয়ে ওই অঞ্চলে নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫১ হাজার ৫০০ জনে।

তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৫১ হাজার ৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবরণে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ১০৮ জন, যাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘাতের শুরু থেকে মোট আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২৪ জনে। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন অথবা রাস্তায় পড়ে আছেন, তবে উদ্ধারকর্মীরা তাঁদের কাছে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা সামরিক অভিযান শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে ইসরায়েল চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে দুই মাসের কিছুটা শান্তির পর মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ইসরায়েল ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫ হাজার ৪৮৩ জন আহত হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েল এই আক্রমণের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে ভঙ্গ করেছে।

জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ অধিবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং উপত্যকার প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

এছাড়া, গাজায় চালানো এই আগ্রাসনের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলাও চলছে।