ইসরায়েল আবারও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল একটি স্কুল যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন রেড ক্রস কর্মী, একজন সাংবাদিক ও কয়েকজন শিশু।
আল জাজিরা সোমবার (২৬ মে) জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। নিহতদের মধ্যে মাত্র ১১ বছর বয়সী গাজার একজন কনিষ্ঠ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদও ছিলেন।
এদিকে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ইউরোপ ও আরব বিশ্বের ২০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে স্পেন ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করা।
অন্য এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, গত দুই দিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১২ জনের বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় এখন ৭০ হাজারের বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে এবং তারা মৃত্যুর মুখে রয়েছে।
রোববার গাজায় চার বছর বয়সী মোহাম্মদ ইয়াসিন অনাহারে মৃত্যুবরণ করেছে। খাদ্যাভাবের কারণে গাজায় শিশুমৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
ইসরায়েল বোমা হামলা ও স্থল অভিযান আরও জোরদার করেছে। গত এক সপ্তাহে এসব অভিযানে প্রায় ৬০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একটি তাঁবুতে চালানো হামলায় এক মা ও তার সন্তানদের মৃত্যু হয়েছে। খান ইউনিসের বানি সুহেইলা এলাকায় একটি ড্রোন হামলায় আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। এ ছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় আরেক হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু।
এছাড়াও পৃথক এক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইয়াকিন হাম্মাদ। তিনি অল্প বয়সেই গাজার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। একই ঘটনায় নিহত হয়েছেন চিকিৎসক আলা আমির আল-নাজ্জারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জন। একমাত্র জীবিত সন্তান আদম (১১) বর্তমানে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।