পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান দেশটির বিচার ব্যবস্থা, সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন। তার মতে, পাকিস্তানে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। সামা টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইমরান খান জানান, তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে দুটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যেখানে উল্লেখ করেছিলেন যে, পাকিস্তানে সব গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,
“দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর দমনপীড়ন বেড়েছে। অতীতে সেন্সরশিপ ছিল, এখন আরও কঠোরভাবে ইলেকট্রনিক অপরাধ প্রতিরোধ আইন (PECA) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।”
পাকিস্তানের সাবেক প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ এনে ইমরান খান বলেন,
“তিনি গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এমন কিছু করেছেন যা অতীতের কোনো বিচারপতিও করেননি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন,
“বিচারপতি ঈসা নির্বাচনি কারচুপির বৈধতা দিয়েছেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোকে আমলে নেননি।”
ইমরান খান বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলে দাবি করে বলেন,
“সংসদ, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রীরা সবাই ‘ভুয়া’। দেশজুড়ে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে এবং রাজনৈতিক সমাবেশ কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে।”
তার বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমান প্রশাসন জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করছে এবং স্বৈরাচারী শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।