হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ফেডারেল মামলা দায়ের করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, কোটি কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান আটকে রেখে প্রশাসন তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার এক ঘোষণায় জানান, “গত সপ্তাহে হার্ভার্ড প্রশাসনের অবৈধ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার একাধিক ক্ষতিকর পদক্ষেপ নিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই অনুদান স্থগিতের বিরুদ্ধে আমরা আইনি লড়াই শুরু করেছি, কারণ এটি বেআইনি এবং সরকারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।”
হার্ভার্ডের মামলায় যেসব মার্কিন সংস্থাকে উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিচার বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ এবং জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে শিশুদের ক্যান্সার গবেষণা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং আহত সেনাদের চিকিৎসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ ইস্যুতে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করার পর, হোয়াইট হাউস বিশ্ববিদ্যালয়ের ২.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান আটকে দেয়।
হার্ভার্ডের দাবি, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তহবিল বন্ধ করে তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করছে, যাতে তারা শিক্ষার স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ মেনে নিতে বাধ্য হয়। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই বিশ্ববিদ্যালয় আইনি পথে হেঁটেছে।
সংবাদ সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, বোস্টনের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সরকার অনুদান স্থগিত করার জন্য যে যুক্তি দিচ্ছে—যেমন ইহুদি-বিরোধী আচরণ নিয়ে উদ্বেগ—তা কোনোভাবে চিকিৎসা, বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।