শিরোনাম

রাজস্থান-পাঞ্জাবে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরের বিভিন্ন স্থানে ভারতের সামরিক হামলার পর সীমান্তবর্তী রাজ্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রাজ্য দুটিতে পুলিশ সদস্যদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং বড় ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশাসন যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে পাকিস্তান সীমান্তকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রায় ১,০৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্তে মোতায়েন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সদস্যদের সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, ভারতীয় বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। জোধপুর, কিশনগড় ও বিকানের বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে ৯ মে পর্যন্ত। এ সময় আকাশে নিয়মিত যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে এবং মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানগুলো গঙ্গানগর থেকে কচ্ছ সীমান্ত পর্যন্ত নজরদারি করছে।

রাজস্থানের বিকানের, শ্রীগঙ্গানগর, জয়সালমের ও বারমের জেলায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশ ও রেল কর্মীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। সীমান্তের আশেপাশের গ্রামগুলোতে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।

এছাড়া, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। জোধপুর ও জয়সালমের এলাকায় রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট চালু রাখা হয়েছে যাতে শত্রু যুদ্ধবিমানের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ কঠিন হয়।

পাঞ্জাবেও একই ধরণের সতর্কতা আরোপ করা হয়েছে। রাজ্যটির পুলিশ সদস্যদের সব ছুটি বাতিল এবং জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে তার সব সরকারি কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।

এর আগে, ভারত মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরসহ মোট নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এই হামলার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেন, ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ভারতের হামলায় নিহত প্রতিটি মানুষের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।