ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ভারত সরকার দাবি করেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের অন্তত নয়টি স্থানে একযোগে এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত এবং অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার সময় দুটি মসজিদেও আঘাত হানে ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ জানান, এসব হামলায় হতাহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশু ও কিশোররাও।
বুধবার ভোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দুজন বেসামরিক নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন। ভারত মোট ছয়টি স্থানে অন্তত ২৪টি হামলা চালিয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, আজাদ কাশ্মিরের কোটলিতে মসজিদ-ই-আব্বাসে চালানো হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। একই হামলায় একজন নারী ও তার মেয়ে আহত হয়েছেন।
মুরিদকেতেও আরেকটি মসজিদে হামলার ঘটনায় একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন বলে জানান মেজর জেনারেল শরীফ। শহরটিতে চারবার হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে একটি হামলায় একটি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও তিনি জানান।
শিয়ালকোটের কোটলি লোহারান গ্রামে একটি গোলা পড়লেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তিনি উল্লেখ করেন, একটি গোলা বিস্ফোরিত না হয়ে নিস্ক্রিয় অবস্থায় পড়ে থাকে এবং অন্যটি জনবসতিহীন জায়গায় বিস্ফোরিত হয়।
এদিকে, শকরগড় এলাকায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিজি আইএসপিআর এই হামলাগুলোকে বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর সরাসরি আগ্রাসন হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় গণমাধ্যমকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হবে যেন তারা নিজের চোখে ভারতের এই আক্রমণের প্রমাণ দেখতে পারেন।