ইরান দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুশো ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কয়েকটি প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও, ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ৯০ শতাংশ নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
এই সফল ‘বীরত্বপূর্ণ’ হামলার কারণে ইরানের নাগরিকরা উল্লাসে মেতে উঠেছে।
টাইমস অব ইসরাইলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের এই বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মুসলিম বিশ্বের কিছু অংশে উদযাপনের জন্ম দিয়েছে। তবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড ইসরায়েলের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাফল্য নিয়ে গর্ব করেছে এবং ইসরাইল প্রতিশোধ নিলে আরও কঠোর আক্রমণের হুমকি দিয়েছে।
হামলার পর, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগারের ছবি টুইট করেছেন, যেখানে কুরআনের একটি আয়াত উদ্ধৃত করা হয়েছে যার অর্থ, “বিজয় আল্লাহর কাছ থেকে আসে এবং তা নিকটবর্তী।”
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের ফুটেজের সঙ্গে উচ্ছ্বাসের সঙ্গীত বাজানো হয় এবং ইরানের সাহসী জনগণের প্রশংসা প্রচারিত হয়। ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাফল্য উদযাপন করে। সম্প্রচারে হিজবুল্লাহর হলুদ পতাকা এবং নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর প্রতিকৃতিও দেখানো হয়।
অনেকেই উল্লাসের সঙ্গে স্লোগান দেয়, “আল্লাহ মহান,” “আমেরিকার মৃত্যু,” এবং “ইসরায়েলের মৃত্যু।”