মার্কিন হামলার পরদিনই, অর্থাৎ রোববার (২২ জুন) রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রোববারই তিনি মস্কোর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এবং সোমবার (২৩ জুন) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হবেন।
আরাঘচি বলেন, “রাশিয়া আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আমাদের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “রাশিয়া জেসিপিওএ (পরমাণু চুক্তি)-এর অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ। আমরা নিয়মিত একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করে থাকি এবং আমাদের অবস্থান সমন্বয় করি।”
তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।”
এর আগে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর এই বর্বর হামলা জাতিসংঘ সনদের মূলনীতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।”
তিনি আরও বলেন, “যদিও কূটনীতির দরজা সবসময় খোলা থাকা উচিত, তবে এই মুহূর্তে নয়। কারণ, আমার দেশ এখন আগ্রাসনের শিকার। আত্মরক্ষার ন্যায্য অধিকার থেকেই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।”
আরাঘচি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের এমন এক ভয়াবহ লঙ্ঘন, যার কোনো ক্ষমা নেই। ‘যুদ্ধবাজ ও আইন উপেক্ষাকারী’ মার্কিন প্রশাসন এই আগ্রাসনের ভয়ংকর পরিণতির জন্য পুরোপুরি দায়ী থাকবে।”
এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হঠাৎ রাশিয়া সফর বড় কোনো কৌশলগত সিদ্ধান্ত বা প্রতিক্রিয়ার অংশ কিনা—তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।