মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রচারণার শেষ দিনে, সোমবার, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় জনসম্মুখে নিজের শেষ ভাষণে কমলা হ্যারিস বলেছেন, “এই প্রচারণা যুক্তরাষ্ট্রের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একত্রিত করেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এই যাত্রা শুরু করেছিলাম শক্তি, আশাবাদ, এবং আনন্দ নিয়ে, আর সেভাবেই শেষ করছি।” তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমাদের মধ্যে আমি শক্তি দেখতে পাই, তোমাদের নিয়ে আমি গর্বিত।” এবারের নির্বাচনে জিততে হলে তার জন্য তরুণ ভোটারদের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, এই নির্বাচনে হামলা, সহিংসতা এবং ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা রয়েছে। দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার রয়টার্স জানিয়েছে, এই অঙ্গরাজ্যগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, বিশেষ করে সহিংসতার শঙ্কায়।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়্যার, আইওয়া, ইলিনয়, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, উইসকনসিন এবং ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাদা, পেনসিলভেনিয়া, টেনেসি, টেক্সাস এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় আছেন।
বিশেষ করে দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফলে নির্বাচনের ফল নির্ধারিত হতে পারে, যার কারণে এসব এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নেভাদা, যা অতীতে সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছিল, সেখানকার ভোট তালিকাভুক্ত কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অ্যারিজোনার ফিনিক্সে মারিকোপা কাউন্টির ভোট তালিকাভুক্ত কেন্দ্রে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অ্যারিজোনায় ড্রোন ও স্নাইপার নিয়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, এবং পুলিশ কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্রে নজরদারি করবেন।
সহিংসতা মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে, যেমন কাঁটাতারের বেড়া এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা।