শিরোনাম

মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াল জান্তা সরকার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে চলমান সংকটের মধ্যে সামরিক জান্তা সরকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। দেশটিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো কাটেনি। এর মধ্যেই চীন-সমর্থিত তেল ও গ্যাস পাইপলাইন রক্ষায় সেনা মোতায়েন শুরু করেছে জান্তা বাহিনী। ফলে একদিকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা, অন্যদিকে সামরিক প্রস্তুতি—এই বিপরীত পরিস্থিতিতে চলছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও মানবিক অস্থিরতা।

৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনী জুন মাসের শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার-নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন জানায়, পুনর্বাসন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এ যুদ্ধবিরতির সঙ্গে একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছে জান্তা। জানানো হয়েছে, যদি কোনো পক্ষ হামলা চালায় বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তাহলে প্রতিক্রিয়া হবে কঠোর।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার আগেই মান্দালয়ের মাইংগ্যান এলাকায় সেনা মোতায়েন শুরু করে জান্তা সরকার। চীন-সমর্থিত তেল ও গ্যাস পাইপলাইন পুনরুদ্ধার করতে সেখানে দেড় শতাধিক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। স্টিল কারখানা থেকেও আরও ৬০ জন সৈন্য আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে ওই এলাকায় সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ১৫ মে থেকে ‘অপারেশন ৯/এ নয়ার মায়ে’ নামের অভিযানে প্রতিরোধ যোদ্ধারা একযোগে সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু করে। নাটোজি শহরে পাইপলাইনের একটি স্টেশনও দখলে নেয় তারা। স্থানীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মতে, এসব ঘটনার কারণে চীনের পক্ষ থেকে জান্তার ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মে মাসজুড়ে এলাকাজুড়ে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, গ্রেপ্তার ও হতাহতের ঘটনা বেড়েছে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা দাবি করেছে, এই সময় অন্তত ৫০ জন জান্তা সেনা ও তাদের মিত্র নিহত হয়েছে। পাল্টা বিমান হামলার আশঙ্কায় মাইংগ্যান জেলাজুড়ে এখন বাড়তি সতর্কতা জারি রয়েছে।