শিরোনাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মাত্র একদিনেই আরও অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এতে করে গাজার মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৮৬০ জনেরও বেশি।

আল জাজিরা এবং তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন করে শুরু হওয়া বিমান হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) এই তথ্য পৃথকভাবে প্রকাশ করেছে দুটি সংস্থা।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী সোমবারও গাজাজুড়ে বিমান হামলা চালায়, যাতে আরও অন্তত ৩৯ জন নিহত হন।
অন্যদিকে, আনাদোলু তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৮৬২ জনে পৌঁছেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরও তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৯৪ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ জন। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা সশস্ত্র আগ্রাসনের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ফলে গাজায় প্রায় দুই মাস কিছুটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করেছিল। তবে হামাসের সঙ্গে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজায় ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন ধাপের হামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৪৯ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৭ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই হামলা কার্যত জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলের চলমান আক্রমণের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ অধিবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একই সঙ্গে অঞ্চলটির বেশিরভাগ অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়াও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলাও চলছে।