গত বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন তার সঙ্গে বৈঠক করতে চান এবং এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। এবার মস্কোও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, পুতিন কোনো শর্ত ছাড়াই ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে এখনো বৈঠকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শপথ গ্রহণের আগে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পুতিনও শর্তহীন বৈঠকের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন।
পেসকভ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে ট্রাম্পের আগ্রহকে মস্কো স্বাগত জানাচ্ছে। তবে এই মাসের শেষ দিকে ট্রাম্পের অভিষেকের পরেই কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “সংলাপের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধানে উভয়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। ট্রাম্পও এই পথে এগোতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন, যা আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।”
তবে, পেসকভ যোগ করেন যে এখনো কোনো বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।
৯ জানুয়ারি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন বৈঠক করতে চান। তিনি এটি প্রকাশ্যেও বলেছেন। আমাদের এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। এটি একটি রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি।”
রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিন এখনও গত জুনে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য দেওয়া প্রস্তাবে অটল রয়েছেন। ওই প্রস্তাবে তিনি দুটি শর্ত দিয়েছিলেন: প্রথমত, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা পরিত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া ইতোমধ্যে যে চারটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, সেগুলোকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে মেনে নিতে হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই প্রস্তাবকে আত্মসমর্পণ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এরপর ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান জেলেনস্কি।