মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়াকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। তবে এ হুঁশিয়ারির মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অন্তত ৯৯টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেনও।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চললেও এখন পর্যন্ত মস্কো বা কিয়েভ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
যদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২ লাখ ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বক্তৃতা দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন করা জরুরি। তিনি আরও জানান, কিয়েভ কোনো অবস্থাতেই মস্কোর দাবির কাছে মাথানত করবে না। পাশাপাশি, ট্রাম্পের সঙ্গে দ্রুত বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সুমি ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর মাইকোলাইভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর এবং জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে এসব হামলা পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কথাও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার ছোড়া ৬৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পাল্টা আক্রমণ হিসেবে রাশিয়ার তেল ডিপো এবং সামরিক কারখানাগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে।