রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন যে, কোনো পরমাণু শক্তিহীন দেশকে পরমাণু সহায়তা দিলে সেটিকে যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে বুধবার তিনি দেশের পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার এই পদক্ষেপ রাশিয়ার পরমাণু হামলার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
পুতিনের এই বক্তব্য পশ্চিমা বিশ্বে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলো দূরপাল্লার মিসাইল চাইছে এবং রাশিয়ার ভেতরে হামলার কৌশল গ্রহণ করছে। আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের কিছু অংশের দখল নেয়।
পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্টের নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো আরও সতর্ক হওয়া উচিত। শুধুমাত্র পরমাণু নয়, ইউক্রেনকে যেকোনো ধরনের সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোকেও রাশিয়ার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ক্রুজ মিসাইল সরবরাহ করেছে, তবে ইউক্রেন এখনো সেগুলো ব্যবহারের অনুমতি পায়নি। মস্কো এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইউক্রেনকে এসব অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে।
পেসকভ আরও বলেন, বিশ্বের সবাই রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন। সীমান্ত আক্রান্ত হলে আমরা অবশ্যই সেগুলো ব্যবহারের কথা ভাববো।
অন্যদিকে, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র পিটার স্টানো বলেন, রাশিয়া শুরু থেকেই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে জুয়া খেলছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় এই হুমকি আসা অযৌক্তিক। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার এই হুমকি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি এবং তাদের অপচেষ্টা সফল হবে না।
পশ্চিমা দেশগুলোতে রাশিয়ার পরমাণু হামলার হুমকি নতুন নয়। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই মস্কো নিয়মিতভাবে এমন হুমকি দিয়ে আসছে।