শিরোনাম

সিরিয়ায় সংঘর্ষে সহস্রাধিক মানুষ নিহত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থি শাসকদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৭৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক, ১২৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৪৮ জন আসাদপন্থী যোদ্ধা রয়েছেন। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্যের সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি।

আসাদ সমর্থকদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। লাতাকিয়ার উপকূলীয় শহর জাবলে-তে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচশোরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। আসাদ সরকার পতনের পর সিরিয়ায় এটিই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শনিবার, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংঘর্ষ বন্ধ ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে উপকূলীয় শহরগুলোর রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং উপকূলের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি এক সতর্কবার্তায় বলেন, হাজারো মানুষ অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে কিছু লোক সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নিচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, অস্ত্র জমা না দিলে চরম পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার আসাদপন্থি বিদ্রোহীদের দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান ওয়ার মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনশোর বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা এক বিবৃতিতে বলেন, সিরীয় জনগণের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সরকারের নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।

সংঘর্ষের ফলে সিরিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, দামেস্ক ও আলেপ্পোতে হাজারো মানুষ শোভাযাত্রা করে আসাদপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।