শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধ না থামালে ইসরায়েলকে ছেড়ে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে—এমন বার্তা দিয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।

সোমবার (১৯ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে তারা জানতে পেরেছে—“ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল ইসরায়েলকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধ না হলে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করে দেবে।” সূত্রটি আরও জানায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এই যুদ্ধ থামানোর মতো রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকলেও, তিনি তা কাজে লাগাচ্ছেন না।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত করেননি, যা নেতানিয়াহুর ওপর বাড়তি কূটনৈতিক চাপের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে নেতানিয়াহুর সরকারকে চাপ দিচ্ছে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা।

উল্লেখ্য, নেতানিয়াহু আগে বলেছিলেন, “ক্ষুধায় কাতর শিশু ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের ছবি এখন আমাদের মিত্ররাও সহ্য করতে পারছে না।” এরপরই সীমিত আকারে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সূত্র জানিয়েছে, রোববার রাতে অনুষ্ঠিত এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তকে একটি “কৌশলগত পদক্ষেপ” বলে উল্লেখ করেন, যাতে করে এতে তার রাজনৈতিক দায় না হয়।

এমন এক সময় ট্রাম্প শিবিরের এই কঠোর বার্তা এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন, নেতানিয়াহু এমন এক জায়গায় পৌঁছেছেন, যেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করছেন—এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও নেতানিয়াহুর প্রভাবের বাইরে যেতে পারছে না। এই কারণে ট্রাম্প নিজেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত করে দিয়েছেন।

এ ছাড়া মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সম্প্রতি তাদের নির্ধারিত ইসরায়েল সফর বাতিল বা স্থগিত করেছেন, যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প শিবিরের অসন্তোষের বড় একটি ইঙ্গিত।