রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই দেখা করার পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি পুতিনের সঙ্গে “খুব দ্রুত” বৈঠক করবেন।
যদিও বৈঠকের নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করেননি তিনি। তবে এই বৈঠকটি হলে এটি হবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক।
ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের সমাধান প্রসঙ্গে ট্রাম্প নিউজম্যাক্স-কে বলেন, “এই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় পুতিনের ওপর নির্ভরশীল। আমি জানি, তিনিও দেখা করতে চান, এবং আমি খুব দ্রুতই তার সঙ্গে দেখা করব। তবে এর জন্য আপনাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু কাজ করতে হলে আপনাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।”
এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ, যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, বলেছেন যে “আসন্ন দিন এবং সপ্তাহগুলোতে” ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। সেই থেকে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো ও তার মিত্রদের সঙ্গে মিলে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে।
এই সংঘাতের কারণে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, ও জাপোরিঝিয়া প্রদেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ার দখলে গেছে। এই দখলকৃত এলাকার সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।
যুদ্ধের ফলে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই সংঘাত পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ককে ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর সবচেয়ে গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে।