৩ দিনের সফরে মালয়েশিয়ায় শি জিনপিং

ছবি : সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সফরে পৌঁছেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশের সফরের অংশ হিসেবে তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন। এই সফরটি চীনের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে—বেইজিং এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দীর্ঘ এক দশক পর এটিই প্রেসিডেন্ট শি’র প্রথম মালয়েশিয়া সফর। এর আগে তিনি ভিয়েতনাম সফরকালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রেল অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি করেন।

মালয়েশিয়ায় পৌঁছে শি জিনপিং বলেন, “চীন ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত অংশীদারত্ব কেবল দুই দেশের জন্যই নয়, বরং এ অঞ্চলের এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আসিয়ান দেশগুলোর কাছে চীন এই সফরের মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছে যে, তারা ওয়াশিংটনের চেয়ে অধিক নির্ভরযোগ্য এবং লাভজনক অংশীদার।

মালয়েশিয়ার সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রী মোহাম্মদ নাজরি আবদুল আজিজ বলেন, “এই সফর কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চীনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট একটি বার্তা—তারা ব্যবসায়িক দিক থেকে স্থিতিশীল ও বিশ্বাসযোগ্য। আমাদের চীনের সঙ্গে কখনো কোনো সমস্যা হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বে মালয়েশিয়া চীনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতে মার্কিন প্রভাব ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।”

বর্তমানে চীন মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।