আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য প্রস্তুত আছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানের পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন।
রবিবার (১১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, “আমরা আগামীকাল থেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আশায় আছি। এটি কূটনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করবে। যুদ্ধ ও প্রাণহানি দীর্ঘায়িত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ স্যোশাল’-এ দেওয়া এক বার্তায় জেলেনস্কিকে দ্রুত পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “পুতিন শান্তি চুক্তির পরিবর্তে সরাসরি তুরস্কে বৈঠকে বসে রক্তক্ষয় বন্ধে আলোচনা করতে চাচ্ছেন। ইউক্রেনের উচিত এই প্রস্তাবে দ্রুত সাড়া দেওয়া।”
এর আগে জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি জানান, যা সোমবার (১২ মে) থেকে কার্যকর করার আহ্বান ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি এখন সন্দেহ করছি, ইউক্রেন কি আদৌ শান্তিচুক্তিতে আগ্রহী? পুতিন বর্তমানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় উদ্যাপন নিয়ে ব্যস্ত। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া সে বিজয় সম্ভব হতো না। তাই, আর দেরি না করে বৈঠকে বসুন—এখনই সময়।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরপরই পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ঘোষণা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।