নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন আগামী ৮ জুন শনিবার। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। আজ দিল্লিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র দলগুলোর বৈঠক হবে। এই বৈঠকে ক্যাবিনেট বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগে সরকার গঠন নিয়ে কিছুটা জল্পনা ছিল। ইন্ডিয়া ব্লক নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করেছিল। এমনকি নীতীশ আজ বুধবার তেজস্বীর সাথে বিমানে করে দিল্লি যান, যার ফলে জল্পনা আরও বেড়ে যায়। তবে চন্দ্রবাবু সরাসরি জানিয়ে দেন যে, তিনি এনডিএ-তে আছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করেছে, শনিবার মোদি শপথ নিতে পারেন। শনিবারেই যে মোদি শপথ নিবেন, এই ঘটনাটা কতটুকু সত্যি? বাস্তবেই কি মোদি এ কথা জানিয়েছেন?
লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ। সরকার গঠন করার জন্য কোনো দল বা জোটকে পেতে হয় ২৭২টি আসন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোটের ফল প্রকাশিত হতেই চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতো এবার আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তবে লোকসভায় এখনও তারাই সর্ববৃহৎ দল। তাছাড়া জোটসঙ্গীদের নিয়ে ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগার অনায়াসে পার করেছে গেরুয়া শিবির। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি সরকার গঠনের দাবি জানাতে চলেছে দলটি। এনডিএ শরিক জেডিইউ এবং টিডিপি-কে ইন্ডিয়া জোটে আনার চেষ্টা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। এরই মধ্যে টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করে কথা বলেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। এই সবের মাঝেই বুধবার থেকে পরবর্তী সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করতে চলেছে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে আজ ক্যাবিনেটের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
আজ ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকে ১৭তম লোকসভাকে ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। আজ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এই সংক্রান্ত ক্যাবিনেট নোট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। ওই প্রস্তাব পেয়ে সপ্তদশ লোকসভা ভেঙে দেবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতিকে অষ্টাদশ লোকসভায় নির্বাচিত সাংসদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হবে। এরপর নয়া লোকসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
রীতি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সর্ববৃহৎ ভোট পূর্ববর্তী জোটকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। এই ক্ষেত্রে ২৯২টি আসন জেতা এনডিএ-কে সেই আমন্ত্রণ জানাবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর লোকসভায় এনডিএ-কে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। এই সবের মাঝে ইন্ডিয়া জোট এনডিএ-তে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে মল্লিকার্জুন খাড়গের গলায়।