লাতিন আমেরিকার অলিতে গলিতে জন্ম নেয় অগণিত ফুটবল প্রতিভা। সেখান থেকে এখন নতুন কোনো প্রতিভার আবির্ভাব হলেই তাঁর নাম হয়ে যায় ‘নতুন পেলে’, ‘নতুন ম্যারাডোনা’ কিংবা ‘নতুন মেসি’। বর্তমানে ব্রাজিলের মেসিনহো বা ছোট মেসি বলা হয় এস্তভাও উইলিয়ানকে। প্রতিভার খনি ব্রাজিলের ১৭ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের দিকে অনেকদিন থেকেই চোখ ছিল ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় দলের। এবার এই ‘নতুন মেসি’কে দলে ভেড়াচ্ছে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব চেলসি। তাহলে ইউরোপে কবে পাড়ি জমাচ্ছেন উইলিয়ান এবং কতো মূলে তাকে দলে টানছে চেলসি?
২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল ব্রাজিলে জন্ম নেয়া এস্তেভাও উইলিয়ান খেলেন লিওনেল মেসির মতোই। আর এই কারণে ইতিমধ্যে মেসিনিও তকমা পেয়ে গেছেন ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গার। মেসির মতোই এস্তেভাওয়ের বাঁ পা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ছুরির মতো চলে।
ব্রাজিলের ১৭ বছর বয়সী এই বিস্ময়বালকের সঙ্গে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। এই উইঙ্গারকে চেলসির কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে ব্রাজিলিয়ান সিরি আ’র ক্লাব পালমেইরাস।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৪২৭ কোটি ৮২ লাখ টাকারও বেশি টাকার বিনিময়ে এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। তবে কিছু সূত্র জানাচ্ছে অর্থের অঙ্কটা আরও বেশি। যা পারফরম্যান্স এবং অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে ৫৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি হতে পারে।
তবে এই গ্রীষ্মেই চেলসি এস্তাভিওকে দলে নিয়ে আসতে পারছে না। সে জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেই এই বিস্ময়বালক চেলসিতে যোগ দিতে পারবেন। এই চুক্তি অনুযায়ী ২০৩২ সাল পর্যন্ত তিনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে থাকবেন।
দুই ক্লাব চুক্তিতে সম্মত হওয়ার ১০দিন আগেই ব্যক্তিগতভাবে চেলসিতে যোগ দেয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেন এস্তাভিও। চুক্তিটি পাকাপাকি করতে গত কয়েকদিন ধরে চেলসির কয়েকজন কর্মকর্তা ব্রাজিলে অবস্থান করছিলেন।
দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সেরা ফুটবল প্রতিভা হিসেবে ধরা হচ্ছে এস্তাভিওকে। দারুণ ড্রিবলিং, সৃজনশীলতা ও খেলার ধরণের জন্য আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা দেয়া হচ্ছে তাকে। ২০০৭ সালে জন্ম নেওয়া এস্তাভিও ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলেও খেলে ফেলেছেন এরই মধ্যে।
এস্তাভিওর ক্লাব পালমেইরাসের আরেক তরুণ প্রতিভা এন্দরিকের সঙ্গে দুই বছর আগেই চুক্তি সেরে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। চলতি গ্রীষ্মেই তিনি লা লিগার নতুন চ্যাম্পিয়নদের ডেরায় যোগ দেবেন।