রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, বিতর্ক এবং নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে স্পেন। স্টুটগার্টে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে স্প্যানিশরা, যা তাদের টানা পঞ্চম জয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দানি ওলমো স্পেনকে এগিয়ে নেন, কিন্তু ৮৯তম মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভিরৎজের গোলে জার্মানি সমতা ফেরায়। ১১৯তম মিনিটে মেরিনোর গোল স্পেনের জয় নিশ্চিত করে। উল্লেখযোগ্য হলো, তিন গোলদাতাই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন।
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে স্পেনের প্রতিপক্ষ হবে তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। পুরো ম্যাচে স্পেন ৪৮ শতাংশ সময় বলের দখল রাখে এবং গোলের জন্য মোট ১৮টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে ছিল। প্রথমার্ধে জার্মানি মাত্র তিনটি শট নেয়, কিন্তু বাকি সময়ে আরও ২০টি শট নেয়, যার মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে ছিল।
মাঠে নেমেই জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার একটি রেকর্ড গড়েন। বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগারকে (৩৮) ছাড়িয়ে বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, ইউরো) জার্মানির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন নয়ার (৩৯)।
অষ্টম মিনিটে বড় একটি ধাক্কা খায় স্পেন। জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের ট্যাকলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পেদ্রি। তার বদলি হিসেবে নামেন দানি ওলমো, যা ইউরোর ইতিহাসে দ্রুততম বদলির ঘটনা।
ম্যাচটি টাইব্রেকারে যাবে বলে মনে হচ্ছিল, কিন্তু ১১৯তম মিনিটে মেরিনোর হেডে ওলমোর ক্রসে বল জার্মানির জালে পৌঁছায়। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ে মুসিয়ালাকে পেছন থেকে টেনে ধরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দানি কারভাহাল। কিছুক্ষণ পরই বাজে শেষ বাঁশি এবং স্পেনের উচ্ছ্বাস শুরু হয়।
জার্মানি শিবিরে তখন হতাশা নেমে আসে। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত আসরে শেষ আট থেকে বিদায় নিতে হলো তাদের। ২০১৪ বিশ্বকাপের পর আরেকটি বড় টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য তাদের অপেক্ষা আরও বাড়ল।
টনি ক্রুসের জন্যও ম্যাচটি বিশেষ ছিল, কারণ এটি ছিল তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।