টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যে কি সেই চারটির জন্য সর্বোত্তম ফরম্যাট, যা ছক্কা-ছাতা দিচ্ছে মুহূর্তেই। এই কারণে আধুনিক ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দুটির তুলনায় বেশি পছন্দযোগ্য হয়ে উঠেছে দর্শকদের মাঝে। এবং এই বছরের বিশ্বকাপে প্রথম বারের মতো ২০ দলের অংশগ্রহণ হচ্ছে মুখ্য আকর্ষণ। প্রথম দিন থেকেই উদ্বোধনী খেলায় প্রত্যক্ষ হয়েছে এবং গতকালও ধারাবাহিকতা ছিল চমকময়। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই দেখা গেল প্রথম ‘টাই’ ম্যাচ। কিন্তু এখানেই শুরু হয়ে গেল বিশ্বকাপের রং আরো তীব্র করার। আইসিসি এই বছরের বিশ্বকাপে বড় চমক করে দিয়েছে প্রাইজমানি ঘোষণায়। গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়েছে প্রাইজমানি এবং এই বিষয়ে নিজের বক্তব্যও প্রকাশ করেছে আইসিসির প্রধান নির্বাহী।
সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে, এবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ প্রাইজমানি।
এবারের আসরে মোট ১১.২৫ মিলিয়ন ডলারের প্রাইজমানি ঘোষণা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। এই বারের প্রাইজমানি গত আসরের তুলনায় দ্বিগুণ বাড়িয়েছে।
বিশ্বকাপের নবম আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্স আপ দল পাবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এছাড়া সেমিফাইনালে হারা দুই দল পাবে ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা করে।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল এবং গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করতে পারলেই মিলবে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে।
অপরদিকে, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে জয়ী দলের জন্য থাকছে বিশেষ অর্থপুরস্কার। পর্বের জয়ী দল পাবে ৩৬ লাখ টাকা করে। এমনকি গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দলগুলোকেও খালি হাতে ফিরতে হবে না। গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচ জেতে পাওয়া হলে বাড়বে তাদের পুরস্কারের অর্থ পরিমাণ। ম্যাচ জিতলে তাদের পুরস্কারে আরও বাড়তি থাকবে।
এইভাবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ দল পাবে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার। এটি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৩ কোটি টাকার বেশি। ম্যাচ জিতলে তাদের পুরস্কারের অর্থ বাড়তি হবে।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেছেন, ‘এবারের বিশ্বকাপ অনেক দিক থেকেই ঐতিহাসিক। এটা খেলোয়াড়দের জন্য পুরস্কারেও একটা উত্তেজনাপূর্ণ পর্ব হবে। আমরা আশা করছি, এবার অন্যরকম একটা বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে।’
এবং এই বিশ্বকাপে চারটি গ্রুপে ভাগ হচ্ছে মোট ২০টি দল এবং গ্রুপপর্বে মোট ৪০টি ম্যাচ খেলবে। প্রত্যেক গ্রুপের সেরা দুটি দল উঠবে সুপার এইটে। ত্রিনিনাদ, টোবাগো, ও গায়ানা হবে দুইটি সেমিফাইনাল এবং বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে হবে ফাইনাল। বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে ২৮ জুন থেকে, যা ২৮ দিন ধরে চলবে।