শিরোনাম

মোদির শপথ আজ, কীভাবে হচ্ছে অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত কারা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য গতকাল শনিবার দিল্লি এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা ছাড়া প্রতিবেশী দেশ এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আরও ছয় দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। সেশেলসের উপরাষ্ট্রপতি আহমেদ আফিফ গতকাল দিল্লি এসেছেন। আজ দুপুরের মধ্যে একে একে উপস্থিত হবেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ্দ কুমার জগন্নাথ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। শপথ অনুষ্ঠানের পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে বিদেশি অতিথিরা নৈশভোজের আসরে যোগ দেবেন।
মালদ্বীপের নির্বাচনের পরে সে দেশের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর প্রথম ভারত সফর হবে। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানা গেছে যে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের প্রায় ৮ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে।
ফল প্রকাশের আগে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের তিনবারের হ্যাটট্রিক ঘোষণা করা হবে জনগণের সম্মুখে। এ কারণে তাঁর নতুনভাবে তৈরি করা কর্তব্যপথে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান পরিচালনার পরিকল্পনাও প্রতিষ্ঠান হয়েছিল। মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড ছাড়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতে সম্ভাবনার মধ্যে সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
নেহরু ১৯৫২, ১৯৫৭ এবং ১৯৬২ সালের নির্বাচনে জিতে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিটি জয়ই নিরঙ্কুশ ছিল। তাঁর সরকার গড়েছিল কোনো সহায়তা ছাড়াই। তিনি ১৯৮৪ সালের ভোটে রাজীব গান্ধীর জেতা হিসেবে ৪১৩ আসনে জোট শরিকদের সহায্য ছাড়াই গড়েছিলেন, এটি কনগ্রেসের জয় হিসেবে সম্মানিত হয়েছিল।

তবে, মোদির মূল লক্ষ্য ছিল একটি হ্যাটট্রিক অর্জন করা, যা অন্য প্রধানমন্ত্রীদের মত অসম্মান বা পরাজয় হিসেবে প্রচারিত হত। এই উদ্দেশ্যে তিনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে সহায়তা পেতে অবশ্যই সরকার গঠনে জোর দেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাব্যবস্থা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিকল্পিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছাকাছি বিশাল একটি তল্লাটে ‘নো ফ্লাই জোন’ নির্ধারিত করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিমান, ফানুস বা ড্রোন অস্তিত্বের এলাকায় ওড়ানো বা চালানো যাতে না পারে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আজ সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় শুরু হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো মোট কতজন পূর্ণ মন্ত্রী এবং কতজন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন, এবং কোন দলের কতজন মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন, সেটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য এই অনুষ্ঠানের সময় জানা যাবে। শপথ গ্রহণের পর নতুন মন্ত্রীদের যে যে দপ্তরে কাজ করতে হবে, তা সরকারি উদ্যোগে উল্লেখ করা হবে। গত শুক্রবার থেকেই শরিক নেতারা তাঁদের চাহিদার বিষয়টি বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করে আগামী পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছেন।
ট্রিনিদাদ এবং টোব্যাগো পৃথক রাজনীতি (টিডিপি) সরকার তিন থেকে চারটি মন্ত্রণালয়ের দাবি করেছে, যেখানে অন্তত দুজন মন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের পূর্ণ মন্ত্রী হতে হবে। তাদের সংসদের সদস্যসংখ্যা ১৬। জেডি-ইউর দাবি করেছে দুই পূর্ণ মন্ত্রীর জন্য। বিজেপি আবার একটি প্রধান মন্ত্রণালয়ের কাছছাড়াও প্রত্যাশা করছে না। অর্থ, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, এবং প্রতিরক্ষা – এই চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই চারটি মন্ত্রী সরকারের নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্যাবিনেট কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন। সরকারের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই পাঁচজনের হাতে রয়েছে। বিজেপি চাইতেও না যে ভিন দলের কেউ এই ক্ষেত্রে দখল নিতে পারে।

  • ঊষারবাণী
  • নরেন্দ্র মোদি
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • ভারত
  • মোহামেদ মুইজ্জু
  •   local-nogod-300-x-250