অবশেষে বিসিএস ও মায়ের বিষয়ে মুখ খুললেন তাহসান

বিসিএস নিয়ে বিতর্ক: তাহসান রহমান খানের জবাব

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় সংগীত ও অভিনয়শিল্পী তাহসান রহমান খান।

প্রশ্নফাঁস ও বিসিএস বিতর্ক

প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এই বিতর্কের মধ্যে হঠাৎই আলোচনায় আসে তাহসান রহমান খান ও তার মায়ের নাম। গুঞ্জন রটে, সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাহসানকে বিসিএসে অংশ নিতে সহায়তা করেন।

তাহসানের প্রতিক্রিয়া

তাহসান রহমান খান বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় চলমান আলোচনা সম্পর্কে বলেন, তিনি কোনো দিন বিসিএস পরীক্ষাই দেননি। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে জানান, “মানুষ বুঝে এসব ভুয়া খবর। এরই মধ্যে মানুষজন এর প্রতিবাদও করছে। আমি কোনো দিন বিসিএস দিইনি। আর যেই গাড়িচালকের (সৈয়দ আবেদ আলী) কথা বলা হচ্ছে, তিনি কোনো দিন আমার আম্মার গাড়িচালক ছিলেন না।”

প্রিন্স মাহমুদের মন্তব্য

গীতিকার এবং সুরকার প্রিন্স মাহমুদ তাহসানকে নিয়ে এই বিতর্কে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি একেবারেই মিথ্যা। তাহসানের বাবা-মা দু’জনই অত্যন্ত সৎ মানুষ। তাহসানের সমস্ত অর্জন তার গানের জন্যই। প্রকৃত অসৎদেরকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এগুলো ছড়ানো হচ্ছে।”

প্রিন্স মাহমুদ আরও উল্লেখ করেন, “তাহসানের আম্মা জিনাতুন নেসা ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ২০১২ থেকে, মানে গত একযুগ বা ১২ বছর। তার গাড়ি চালাতো বলেই সে অপরাধী, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। তিনি দায়িত্বে থাকার সময় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল কিনা বা প্রশ্নফাঁসের সময় থেকে তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন কিনা বা জড়িত ছিলেন কিনা, সেটা আগে জানতে হবে।”

সত্যতা যাচাই

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তথ্য যাচাই-বাছাই সংস্থা জানিয়েছে, ২৪তম বিসিএসের ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়। ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠায় ৩ মার্চ তা বাতিল করে পিএসসি। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত ও ভাইভার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।