প্রায় ৯ মাস ধরে চলমান গাজার উপত্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হামাস একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে হামাস চাইছে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হোক এবং ইসরায়েলি আটক নাগরিকদের মুক্তি দেয়া হোক। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবের বিষয়ে মূল্যায়ন করছেন এবং শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও, কাতারের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি এই প্রস্তাবটির পক্ষে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গাজার মানবিক অবস্থা ক্রমশঃ সংকটজনক হচ্ছে। বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে দুইপক্ষের উপর যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় শান্তি স্থাপনের জন্য একটি ত্রিস্তরীয় পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। হামাস দাবি করছে যে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হচ্ছে এবং ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিহার হচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে যে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় যারা জিম্মি হয়েছে, তাদেরকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান বন্ধ হবে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাধিকবার জানিয়েছেন যে, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা পর্যন্ত গাজায় তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে না।
বুধবার সন্ধ্যায় হামাস ঘোষণা করেছে, যে গাজায় শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কাতার, মিসর এবং তুরস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ চলছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে সম্মতি প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন।
কাতার গাজায় শান্তি প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
এর আগে, হামাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা কিছু পরিকল্পনার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ হামাসের এই নতুন প্রস্তাব মূল্যায়ন করার বিষয়ে গবেষণা করছে।