পাকিস্তান জুড়ে প্রথম ম্যাচ হারার পর, অনেকে বলেছিলেন যে, বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রচুর চাপে পড়েছেন এবং তাদের পরবর্তী ম্যাচ সম্ভবত কঠিন হতে পারে। কিছু মন্তব্যকারী এখনও পাকিস্তানের জন্য সুপার এইটে অত্যন্ত কঠিন বলছেন। আরেকটি ম্যাচে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে হারিয়েছে এবং এটি আসলেই দলের জন্য একটি বিপদের সূচনা করে। এখন তাদের গ্রুপের মধ্যে জটিলতা প্রকাশ হয়েছে এবং সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন উত্তরাধিকার হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে।
গ্রুপ ম্যাচের প্রথম ৪টি খেলে পাকিস্তানের কোনও পয়েন্ট নেই, এবং তারা পঞ্চম অবস্থায় রয়েছে। ভারত দুটি ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সর্বোপরি অবস্থিত আছেন। অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্র একই সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তবে তাদের নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকতে হয়েছে। কানাডার অবস্থান তিনটি ম্যাচে একটি জয় নিয়ে তাদের অবস্থান তৃতীয় পয়েন্ট অনুযায়ী।
পাকিস্তান এখন পরের দুটি ম্যাচে কানাডা এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। কানাডার বিপক্ষের ম্যাচটি ১১ জুনে নিউইয়র্কে হবে এবং আয়ারল্যান্ডের ম্যাচটি ১৬ জুনে লড়ডারহিলে হবে। এই দুটি ম্যাচের আগে পাকিস্তান যদি সুপার এইটে যেতে চায়, তাদের কী করতে হবে সেটি সম্পর্কে বিচার করতে হবে। শুধু নিজেদের ম্যাচ জিতলে হবে না, পাকিস্তানকে অন্য দলগুলোর ফলের দিকেও চিন্তা করতে হবে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচের দিকে। ‘এ’ গ্রুপের অবশিষ্ট ম্যাচগুলোতে যদি কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা পাকিস্তানের জনপ্রিয়তার উপর কিছু প্রভাব ফেলতে পারে।
১১ জুন: পাকিস্তান বনাম কানাডা – পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
১২ জুন: ভারত বনাম যুক্তরাষ্ট্র – ভারতকে জিততে হবে।
১৪ জুন: যুক্তরাষ্ট্র বনাম আয়ারল্যান্ড – আয়ারল্যান্ডকে জিততে হবে।
১৫ জুন: ভারত বনাম কানাডা – ভারতকে জিততে হবে।
১৬ জুন: পাকিস্তান বনাম আয়ারল্যান্ড – পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
যদি এই সমস্ত ম্যাচগুলি এভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে উঠবে। পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পয়েন্ট সমান হবে। দুটি দলের মধ্যে যারা নেট রান রেটে অগ্রগামী থাকবে, তারা সুপার এইটে উঠবে।