গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৮ জুন ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে তিনি তেহরানের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইরানের গণমাধ্যম ‘ইরান ইন্টারন্যাশনাল’ এক প্রতিবেদনে জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘দোলাত বাহার’-এ শনিবার এক ভিডিও বার্তায় আহমাদিনেজাদ বলেন, “পরিবর্তনগুলো খুব দ্রুত ঘটছে। এটা শুধু ইরানেই নয়, সারা বিশ্বেই। আমি আশা করি, আমরা শিগগিরই সুন্দর পরিবর্তন দেখতে পাব।”
ইরানের বর্তমান পার্লামেন্টে আহমাদিনেজাদের বেশ কিছু সমর্থক রয়েছেন। তারা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আহমাদিনেজাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, ইরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে আহমাদিনেজাদ অন্যতম।
পার্লামেন্টে তাবরিজ অঞ্চলের প্রতিনিধি আহমাদ আলীরেজা বেইগি বলেছেন, “যদি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে আমরা জয়ী হবো।”
তবে তিনি ২০১৭ ও ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আহমাদিনেজাদকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতার অনুমোদন দেবে। কারণ, যদি তিনি প্রার্থী হন এবং তার প্রার্থিতা বাতিল হয়, তবে এটি খুব খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে।”
আল অ্যারাবিয়ার খবরে জানানো হয়, গত রবিবার ইরানের শিরাজ শহরে আহমাদিনেজাদকে গ্রেফতার করা হয়।
আল অ্যারাবিয়া জানায়, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অনুমতি পেলেই আহমাদিনেজাদকে গৃহবন্দি করা হবে।
গত ২৮ ডিসেম্বর ইরানের রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে কথা বললেও, পরে সরকারের পতনের দাবি তোলে। সেসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ২১ জন নিহত হন এবং কয়েকশ ছাত্রসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৯ সালের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলনের পর এটি ছিল দেশটির সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।