শিরোনাম

গাজায় নিখোঁজ ২০ হাজারেরও বেশি শিশু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৫ মাস আগে
গাজায় নিখোঁজ ২০ হাজারেরও বেশি শিশু

ইসরায়েল ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে আসছে, এতে ৩৭,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ২০,০০০ এরও বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে।


আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা Save the Children এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজা এলাকায় ইসরায়েলের হামলার পরিণামে ২০,০০০ এরও বেশি শিশু নিখোঁজ হয়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন, কেউ কেউ আটক হয়েছে, এবং অনেকের মৃত্যু হয়েছে যা অচিহ্নিত কবরে সমাহিত করা হয়েছে। অন্তত ১৭,০০০ শিশুর মধ্যে এমনি একটি সংসার থেকে তাদের পৃথক করা হয়েছে।


Save the Children জানায়, হামলার কারণে গাজায় তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করা কঠিন হয়েছে। আনুমানিতভাবে ৪,০০০ শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে এবং অনেকে গণকবরেও সমাহিত হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, কিছু শিশুকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে এবং গাজা থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের পরিবারের কাছে তাদের অবস্থান অজানা।
মিডল ইস্টের Save the Children এর রিজিওনাল ডিরেক্টর জেরেমি স্টোনার বলেন, পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনের অবস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন। ধ্বংসস্তূপ বা গণকবরে সন্তানের মৃতদেহ খুঁজে বের করা কোনো অভিভাবকের কাজ হতে পারে না। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো শিশুর একাকী থাকা উচিত নয়।


গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় অবিরাম হামলা চালাচ্ছে, এতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা সহ হাজারো ভবন ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে প্রায় ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এই হামলা গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলের হামলার ফলে ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, পানি এবং ঔষধের তীব্র সংকটে গাজা এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে। এই আক্রমণে গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

সূত্র : আল জাজিরা

  • ইসরায়েল
  • ঊষারবাণী
  • গাজা
  •